Published by যশোর রোড (Jessore Road)
যশোর রোড
সময়রে সুতীব্র সাহস ও অনিবার্য পদ্ধতি...
................................................................................................................................................................................................................
“এ দিকে চাষীরা মার খাচ্ছে,
অন্যদিকে উনারা দাত কেলাচ্ছে,
কবিতা পাঠ করছে,
এানুষগুলো বানচোদ না এমিবা।”!
বা
আমি একটি ইতরেরদেশে থাকি,
এখানে বণিকেরা লেখকদেও উদ্ভাবন করে,
এবং লেখকরাও উদ্ভাবিত হয়।”
(কবি নবারূণ ভট্টাচার্য)
মানুষকে সচেতন ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করছে,একা, নিঃসঙ্গ, চিন্তান্তুন্য, একরৈখিক, ভোগবিলাসী চরিত্রে। সমাজ, রাজনীতি,সংস্কৃতি সচেতনতাহীন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দিচ্ছে তার মনন, একদিনে নয় আশির আগে থেকে। লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট অস্তিত্বের এই জায়গাটি বাধা দিতে পরে এখনই,এই মুহূর্ত থেকেই । লিটিলম্যাগ সাহিত্যে গতিশীলতার বেলাগাম সৃজন প্রথা বিরোধীদের দাড়াবার জায়গা।
তাই এসো, ভাঙি, আধিপত্যের ফ্রেম গুলোকে চুরমার করি, ধ্বংস করি আধিপত্যের স্থাপত্য, হুলিও কোর্তাসার বলেছিলেন, কে কোথায় আছো, ভাঙো!!
লিটিলম্যাগ কেন্দ্রিক বহুবিধ ধারণাপোষণ করে এসকল ছোটকাগজের সঙ্গে যারা জড়িত তারা কি শুধু সম্পাদকের দযিত্ব পালন করছেন না সংগ্রাহকের? কতোটা মৌলবাদ বিবর্জিত? আদৌ কি লিটল ম্যাগ হয়ে উঠছে নাকি নানা রকমের লেখকদের মহাসমাবেশ ঘটিয়ে বিশ্ব এজতেমা সংকলিত করছেন? পেটমোটা সংকলন করে ভলিউমের বাইসেপ, ট্রাইসপ দেখিয়েছে, দেখিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তরর? জিজ্ঞাসা আরো গভীরে প্রোথিত হলে তৃতীয় বাংলার লিটলম্যাগ উভয়বঙ্গে তথা বাংলাভাষাভাষী সর্বঅঞ্চলে চিহ্ন তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত কছি।
আশির দশকে বাংলাদেশে কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ ও তাঁর সহযোগী সমমনা সাহিত্যিকগণ আমাদের দেশে লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট এর প্রথারবিরোধীতা তথা প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার চর্চা ও প্রয়োগ ঘটান। কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার নায্যতা, এর অনিবার্যতার বিশদ ভাবে তুলে ধরেন তাঁর রচিত পাল্টা কথার সূত্রমূখ এ বিষয়ক ইশতেহার গদ্যে। কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা কোন খন্ডিত বিষয় নয় বরং তা হচ্ছে প্রচলিত মূল্যবোধ, ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়ায় অবস্থিত নান্দনিক ধারণার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন ও আক্রমণ। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার অর্থই আমার শিল্প বিশ^াসকে এমন পর্যায়ে নিতে হবে যেক্ষেত্রে পণ্য সর্বস্ব পত্রিকাগুলি লেখকের জীবনের কোন পর্যায়ে তাঁর লেখা ছাপার জন্য, তারা (প্রতিষ্ঠান) শেষ সাহষটুকু নিয়েও এগোতে পারবে না।”
বাজারি পণ্য সাহিত্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, লেখকদের সৃজনশীলতা, চৈতন্যের বিকাশ, নতুন কিছুর পরীক্ষা-নীরক্ষিা প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করছে। লেখক সত্তার নিজস্ব চীন্তাচেতনার অনুভুতিকে প্রতিবন্ধি করে রেখেছে। অপরদিকে,“ “প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা, “সাধারনত প্রতিবাদ মুখর, আনুষ্ঠানিকতা-বর্জিত, প্রাতিস্বিকতায় ভঙ্গুর, অস্থিও, আস্বস্তিকারক, ছকহিন, ঐক্যহীন, খাপছাড়া, এলোপাতাড়ি ও আয়রনিমূলক।”
সুবিমল মিশ্র বলেছিলেন, “প্রতিষ্ঠিত শক্তিই প্রতিষ্ঠান”। বাজারি পণ্য সাহিত্যেও লেখকগণ কথাটার মানে না বুঝেই তারা প্রতিষ্ঠানমূখী হচ্ছে অথচ প্রতিষ্ঠিত শক্তির মানে সৃজনশীল ব্যক্তি, যিনি বুঁর্জোয়া, মুনাফা লোভী, পুঁজিবাদকে না বলে বাজারি সাহিত্যের বিপক্ষে দাড়িয়ে নিজস্ব চৈতন্যের বিকাশ, নতুন কিছুর পরীক্ষা-নীরক্ষিা প্রবণতাকে নিজেই নিজের বিরুদ্ধে তার সাহিত্যকর্মকে দাড় করিয়ে অনিবার্যভাবে আবিস্কারের নেশায় লিপ্ত রয়েছেন। সুবিমল মিশ্র এর ভাষায়, “ লোকে যাকে সাহিত্য করা-টরা বলে তেমন কিছুতে আমার আস্থা নেই। চীন্তার মধ্যবিত্ততাকে আমি ঘৃণা করি, যে চীন্তা বৌয়ের ঠোঁটের লিপিষ্টিক দেখে রক্ত প্রত্যক্ষ্য করে। রবিঠাকুর-টাকুরদের মতো সাহিত্য করিয়েদের লাইনে থাকতে রীতিমত অসম্মানিত মনে হয় আমার। আমি তেমন কোন লেখা লিখতে চাই না যা পড়ে লোকে আমার পিঠ চাপড়ে বলবে, বাহ বেড়ে সাহিত্য করছোতো হে ছোকরা, আমি চাই লোকে আমার লেখা পড়ে থুথু দিক, আঙুল দেখিয়ে বলুক ;- এই সেই লোক যে উপদংশসর্বস্ব এই সভ্যতার ঘাগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দিনের আলোর মতো খোলাখুলি করে দিয়েছে ।”
প্রসঙ্গ লিটলম্যাগাজিন, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এবং সুবিমল মিশ্র: মারুফুল আলম (‘দ্রষ্টব্য’ সুবিমল মিশ্র সংখ্যা, ১৯৯৮) শীর্ষক গদ্য গ্রন্থে পুরো বিষয়টি পরিস্কার করে দিয়েছেন:-
ক. প্রতিষ্ঠিত শক্তিই প্রতিষ্ঠান।
খ. সংবাদ সাহিত্যের ফ্যাক্টরিগুলো বাজারী লেখক পয়দা করছে।
গ. প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মুনাফা লোটা আর সে কারণে যেভাবেই হোক না কেন এমনকি নিছক মনোরঞ্জনের মাধ্যমে হলেও ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠী করায়ত্তপূর্বক তাদেরকে শিল্প-সচেতন না করা।
ঘ. রেডিও-টিভি এবং নানাবিধ মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনের সাহায্যে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
ঙ. সিরিয়াস পাঠককে ইন্টেলেকচুয়্যাল বলে বসিয়ে দেয়া।
চ. তরুণ লেখক গোষ্ঠী থেকে কাঁচামাল সংগ্রহের সম্পূর্ণ বড়বাজারীয় পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়া পোষ্য লেখকদের রীতিমাফিক মরা ইঁদুরের মত ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা।
ছ. সিরিয়াস আপোষহীন লেখকগণকে চরম ও নগ্নভাবে আক্রমণ করা।
আজ সেই ভিন্ন স্বরকেও মেইনস্ট্রিমের ভিতর নিয়ে এসেই মূলধারাটিকে আক্রমণ করতে হবে, যা জিজেকের ভাষায়: "বিটন অ্যাট দেয়ার ওন গেম", ইউরোকেন্দ্রিক ভাষাকে আত্মস্থ’ করেই ইউরোকেন্দ্রিক আধিপত্যকে ধ্বংস করাই আজকের দাবি, নয়। সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এটাই সত্য!!
আশরি দশকের প্রতিষ্ঠান বিরোধি আন্দোলন বা লিটিলিম্যাগ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে বর্তমান প্রজন্ম দৃষ্টিভঙ্গি একে দেখায়, জড়, আর্থব-পঙ্গু, চিন্তার দৈনতাই আমাদের ভাবিত করে এবং ভাবিত হই, উত্তর-উপনেকেশিককালে, আমাদের সহিত্যেও ঔপনেবেশিক প্রেতের অস্তিত্ব বিরোধিতা অনিবার্য কাম্য।মেরুদন্ডহীন ফরমায়েশী চিন্তায় মধ্যবিত্ত সমাজের সব শেনীর মধ্য এখন হয়নি সুষম পূর্ণাঙ্গতা। চিন্তার অসংলগ্নতা, ঔপনেবেশিক
পরে বুঁর্জোয়া শ্রেনীর প্রতি নতজানু প্রভুর শেখানো আদব লেহাজ অজান্তেই মগজে তাদের ক্রীয়শিীল। জিরো জেনারেশনেও প্রভুদের বড় কওে দেখার বাতিক তাক করে ফেরে আজও, সেজন্য ঘটে যায় সাংস্কৃতিক বিপর্যয়। তন্ত্রীতে-¯œায়ুতে, মগজে, শীরায়-শীরায় ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য এর একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রথা ভেঙে ফেলা। মানুষকে সচেতন ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করছে,একা, নিঃসঙ্গ, চিন্তান্তুন্য, একরৈখিক, ভোগবিলাসী চরিত্রে। সমাজ, রাজনীতি,সংস্কৃতি সচেতনতাহীন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দিচ্ছে তার মনন, একদিনে নয় আশির আগে থেকে। লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট অস্তিত্বের এই জায়গাটি বাধা দিতে পরে এখনই,এই মুহূর্ত থেকেই । লিটিলম্যাগ সাহিত্যে গতিশীলতার বেলাগাম সৃজন প্রথা বিরোধীদের দাড়াবার জায়গা।
তাই এসো, ভাঙি, আধিপত্যের ফ্রেম গুলোকে চুরমার করি, ধ্বংস করি আধিপত্যের স্থাপত্য, হুলিও কোর্তাসার বলেছিলেন, কে কোথায় আছো, ভাঙো!!
দক্ষণিরে শহর খুলনা থেকে প্রকাশতি হচ্ছে সৈয়দ তৌফকি উল্লাহ সম্পাদতি লিটিলম্যাগ 'যশোর রোড '। আমরা খুবই আশাবাদি প্রতষ্ঠানবিরোধিতার রনাঙ্গনে ' যশোর রোড' এর উপস্থতিতি। বাজারী সাহত্যি নামক পণ্য বকিনিরি বপিরতিে খুলনা থেকে সৈয়দ তৌফকি উল্লাহ এই উদ্যোগকে স্বাগতম। ছোটকাগজ কোনো আঞ্চলকিতার ধার ধারে না। ছোটকাগজরে কোনো ব্যক্তি মালকিানা থাকনো যে এই মতার্দশ ধারন করে এটা তার। যেমন সততা এর কোনো মালকিানা হয়না, যে ধারন করে সততা, সে তাঁর মালকি, তখোন সে সততার আর সততা তাঁর।
আমরা প্রত্যাশা করি খুলনায় আপাত বসতকারি ছোটকাগজরে লখেক সাহত্যিকিরা ' যশোর রোডরে পতাকা তলে বুকটান করে দাঁড়াবনে আর ক্রমাগত আগুয়ান হবনে সামনরে দিকে।
সংঘর্ষ তত্ত্ব সর্বাধিক মার্কসবাদের সাথে যুক্ত, তবে কার্যকারিতা এবং ইতিবাচক পদ্ধতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্যান্য দৃষ্টিকোণগুলির সাথেও সংশ্লিষ্ট হতে পারোধিপত্যকে ধ্বংস করাই আজকের দাবি, সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এটাই সত্য!!
প্রতিষ্ঠান বিরোধী তথা লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট অবসম্ভাবি ভাবে নিজেকে নিজের প্রতিদ্বন্দি করে তোলে।
জিরো জেনারেশন জিন্দাবাদ!! বাল-বাজারি মলমূত্রের ধারাবাহিক প্রোডাকশন চলছে-চলবে!!! কাগজ উঠে যায়, যাক!! তবু এই নিম্নমেধার প্রোমোটিং বন্ধ হবে না, কারণ যে অদৃশ্য লোকগুলো ওই অ্যান্টিচেম্বারে বসে আছে, তারা প্রতিভা, মেধা, পোটেনশিয়ালিটিকে যমের মতো ভয় পায়, অতএব তাদেরকেই প্রোমোট করো, যারা জীবনে কোনোদিন একলাইন কবিতা লেখার যোগ্যতা রাখবে না!!! এককলম সত্যিকারের ফিকশন লিখতে শিখবে না!!
তাহলে আপনি কী করবেন?? অভিমান আর অপমান সহ্য করে দূরে সরে যাবেন?? সার্কিট থেকে বেরিয়ে যাবেন??? অস্ত্র সমর্পণ চুক্তি করবেন???
না, কোনোটাই আপনি করবেন না, বিগত একদশকে বাংলা কবিতায় এসে গেছেন বেশ কিছু নতুন লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট গতি ধারায় এসেছে লড়াকু প্রকাশক, যারা, সযতেœ এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবিদের বই ছাপছেন, একটা বিকল্প পাঠকবৃত্ত অলরেডি তৈরি করে ফেলেছেন তারা, বাল-বাজারি পাবলিশারের চেয়ে তাদের ছাপা কবিতার বইয়ের বিক্রি নিঃসন্দেহে বেশি, এসে গেছে ফেসবুকের মতো অসম্ভব শক্তিশালী কবিতা-মাধ্যম যেখানে একদম সরাসরি লেখক-পাঠকের ইন্টার-অ্যাকশন ঘটছে, বাল-বাজারি মনোপলি ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে আর এক দশকের মধ্যেই, হতে বাধ্য, মার্কেটের নিজস্ব লজিকেই তা ঘটবে, ঘটবেই কমরেড, ঘাবড়াবেন না, পিছু হটবেন না, লড়াই জারি রাখুন!!
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যশোর রোডের, উল্ল্যেখযোগ্য ইতিহাস হলো , বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্তিম বন্ধু ও মানবতাবাদী মার্কিন কবি ও গীতিকার অ্যালেন গিন্সবার্গ । যার নাম উচ্চারণের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত তার বিখ্যাত- সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতা বা গানটির কথা মনে পড়ে যায় এবং কবিতাটি পড়লে বর্বর পাকিস্তানিদের নির্মম নৃশংস গণহত্যার চিত্র যেনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
যশোর রোড নাম লিপি মর্হষি চারু পন্টিু একছেনে।
যশোর রোড (Jessore Road) এর সকল পোস্ট দেখুন
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান